ছলাত আদায়ের পদ্ধতি
পবিত্রতা অর্জন-
যে কোন ফরজ ছলাত আদায়ের জন্য ওযু
না থাকলে প্রথমে ওযু করে নেয়া। গোসল ফরজ হয়ে থাকলে প্রথমে ফরজ গোসল করে নেয়া । পানি
না পাওয়া গেলে তায়াম্মুম করে ছলাত আদায় করা । (ওযু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা পড়তে এখানে ক্লিক করুন)
ছলাতের নিয়াত করা-
ছলাত আদায়ের জন্য মুখে কোন নিয়াত
করতে হবে না, নিয়াত অন্তরের সংকল্প, আপনি কোন ওয়াক্তের কত রাকাত, কি ছলাত আদায় করছেন
তা মনে মনে ভেবে নেয়াই নিয়াত । এছাড়াও জায়নামাজে দাড়ানোর কোন দোয়া পড়তে হয় না ।
কেবলামুখি হয়ে দাড়ানো-
রাসূল সাঃ বলেন
“যখন তুমি ছলাতে দাঁড়াবে, তখন পরিপূর্ণরূপে উযু করবে, অতঃপর কিবালামুখী হয়ে তাকবীর
বলবে” (বুখারী) [অর্থৎ আল্লাহু আকবার বলবে]
যদি পরিস্থিতি এমন হয় যে, পশ্চিম দিক নির্ণয় করা যাচ্ছেনা। কিংবা যানবাহনে
রয়েছে তখন যে কোন দিকে ফিরে ছলাত আদায় করা যাবে । যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, “আর পূর্ব
ও পশ্চিম আল্লাহরই। সুতরাং তোমরা যে দিকেই মুখ ফিরাও, সে দিকেই আল্লাহর চেহারা। নিশ্চয়
আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ” । (সুরা বাকারা আয়াত ১১৫)
কিয়াম বা দাঁড়ানো-
ছলাতের উদ্দেশ্য নম্রতার সহিত সোজা
হয়ে দাড়ানো। দাড়াতে অক্ষম হলে বসে, আর বসে ছলাত আদায়ে অক্ষম হলে কাত হয়ে শুয়ে চেহারা
কিবলার দিকে মুখ করে ছলাত পড়বে। যদি কাত হয়ে শুয়ে সম্ভব না হয়, তা হলে, সম্ভব হলে,
চিৎ হয়ে শুয়ে কিবলার দিকে পা দিয়ে ছলাত পড়বে, এটাও যদি সম্ভব না হয়, তাহলে যেভাবে সম্ভব
সেভাবেই পড়বে।
তাকবির বলে হাত উত্তলন করা
(তাকবীরে তাহরীমা)- আল্লাহু আকবার বলে হাত কাধ বরাবর অথবা কানের লতি বরাবর উত্তলন করা। এক্ষেত্রে হাতের আঙ্গুল গুলো একখানে লেগেও থাকবেনা আবার ফাঁকা হয়েও থাকবে না, স্বাভাবিক থাকবে । আঙ্গুল গুলো কেবলামুখি থাকবে ।
বুকের উপরে হাত বাঁধা-
বাম হাতের উপরে
ডান হাত স্বাভাবিক উচ্চতায় বুকের উপরে বাধা (হাত নাভির নিচে কিংবা কোমরে বাধা নয়)। এমত
অবস্থায় নিজের দৃষ্টি সিজদার স্থানের দিকে রাখা, (অন্য কোন দিকে, কিংবা আকাশের দিকে
না তাকানো)
সানা পড়া- ১
(যে কোন একটি সানা পড়লেই হবে)
সুবাহাকা আল্লাহুম্ম ওয়াবি হামদিকা, তাবারকাসমুকা, ওয়াতাআলা
যাদ্দুকা, ওয়ালাইলাহা গায়রুকা
سُبْحَانَكَ اللهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، تَبَارَكَ اسْمُكَ، وَتَعَالَى جَدُّكَ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার প্রশংসা জড়িত পবিত্রতা জ্ঞাপন করছি, তোমার
নাম অনেক বরকতমণ্ডিত হোক, তোমার মহানত্ব সমুন্নত হোক। আর তুমি ছাড়া প্রকৃত কোন মাবুদ
নেই।
সানা পড়া- ২
(যে কোন একটি সানা
পড়লেই হবে)
اللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِي
وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ.
اللَّهُمَّ نَقِّنِي مِنْ خَطَايَايَ كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الأَبْيَضُ مِنْ
الدَّنَسِ . اللَّهُمَّ اغْسِلْنِي مِنْ خَطَايَايَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ
وَالْبَرَدِ
আল্লাহুম্মা বাইদ বাইনি ওয়া বাইনা খতাইইয়ায়া কামা বাআদতা বাইনাল মাশ্রিকি
ওয়াল মাগরিব। আল্লাহুম্মা নাক্কিনি মিনাল খতাইয়ায়া কামা ইউনাক্কাস সাউবুল আবইয়াদু
মিনাদ দানাস। আল্লাহুম্মাগসিল খতাইয়ায়া বিল মায়ই ওয়াস সালজি ওয়াল বারাদ
অর্থঃ “হে আল্লাহ! তুমি আমার এবং আমার পাপের মধ্যে এই পরিমার্ণ দূরত্ব সৃষ্টি
কর, যে পরিমাণ দূরত্ব রেখেছ পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে; হে আল্লাহ! তুমি আমাকে আমার পাপ
থেকে এমনভাবে পরিচ্ছন্ন করা যেভাবে সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে পরিচ্ছন্ন করা হয়। হে
আল্লাহ! তুমি আমার পাপকে পানি, বরফ ও শিশির দ্বারা ধৌত কর।
আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ পড়া - আউযু বিল্লাহ হিমিনাস
শাইতানির রাজিম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। (মনে মনে পড়া)
সুরা ফাতিহা পড়া- একা একা ও ইমামের পিছনে সর্বঅবস্থায়
সুরা ফাতিহা তিলাওয়াত করা । সুরা ফাতিহা তিলাওয়াত শেষে আমিন বলা ।
অন্য একটি সুরা মিলানো- একটি পুর্নঙ্গ
সুরা অথবা বড় একটি আয়াত অথবা ছোট তিনটি আয়াত তিলাওয়াত করা। (প্রতিটি আয়াত আলাদা আলাদা
করে পড়া, একসাথে মিলিয়ে টেনে না পড়া।)
রুকু করা-
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কিরাআত
শেষে একটু বিরাম নিতেন। অতঃপর তিনি হস্তদ্বয় তাকবীরে তাহরীমায় উল্লেখিত নিয়মানুসারে
উত্তোলন করতেন এবং আল্লাহু আকবার বলে রুকূ করতেন। (এটা হচ্ছে তিনজন ইমাম- মালিক, শাফিঈ
আহমাদ বিন হাম্বল ও অধিকাংশ মুহাদ্দিছ এবং ফকীহগণের মত। হানফিদের মধ্য থেকে ইমাম আবু
ইউসুফের মত)
যখন তুমি রুকূ করবে তখন তোমার হস্তদ্বয় উভয় হাঁটুর উপর রাখবে এবং অঙ্গুলগুলোর
মাঝে ফাঁক রাখবে অতঃপর এমন সময় পর্যন্ত থামবে যাতে প্রত্যেকটি অঙ্গ স্ব স্ব স্থানে
স্থির হতে পারে।
তিনি কনুই দুটোকে পাঁজর দেশ থেকে দূরে রাখতেন। তিনি রুকু কালে পিঠাকে সমান করে প্রসারিত করতেন। এমন সমান করতেন যে, তাতে পানি ঢেলে দিলেও তা যেন স্থির থেকে যাবে।
তিনি ছালাতে ক্ৰটিকারীকে বলেছিলেনঃ অতঃপর যখন রুকু করবে তখন স্বীয় হস্তদ্বয়
হাঁটুদ্বয়ের উপর রাখবে এবং পিঠকে প্রসারিত করে স্থিরভাবে রুকু করবে। তিনি পিঠ অপেক্ষা
মাথা উচু বা নীচু রাখতেন না। বরং তা মাঝামাঝি থাকত। শান্ত শিষ্টভাবে রুকু করা - রুকু
এবং সাজদা পরিপূর্ণভাবে আদায় করা
রুকুতে দোয়া-
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ (সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম) কমপক্ষে তিনবার পড়া অর্থঃ আমি মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা বৰ্ণনা
করছি ।
একটি
বিষয় মনে রাখতে হবে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রুকু ও রুকুর পর দাঁড়ানো,
সাজদাহ এবং দুই সাজদার মাঝখানে অবস্থানের পরিমাণ বরাবরের কাছাকাছি রাখতেন। নবী (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রুকু ও সাজদায় কুরআন তিলাওয়াত করতে নিষেধ করতেন। তবে কুরআনের
আয়াত নয় এমন দোয়া পড়া যাবে । তবে সাজদায় বাংলায় অথবা মাতৃভাষায় দোয়া করা যায় বলে
অনেক আলেমের অভিমত রয়েছে ।
[এছাড়াও
কুরআনের যে সব আয়াত দোয়া হিসাবে পড়া হয় তা পড়া যাবে বা একটু পরিবর্তন করে দোয়া করা
যাবে । (যেমন রাব্বানা এর যায়গায় আল্লহুম্মা পড়া অথবা আল্লাহুম্মার জায়গায়
রাব্বানা পড়া) (এই লাইনটি বুঝতে না পারলে এড়িয়ে যান)]
রুকু থেকে উঠে দোয়া-
অতঃপর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রুকু অবস্থা থেকে
মেরুদণ্ডকে উঠাতেন এই বলতেনঃ سمِعَ اللهُ لِمَن حمِدَه (সামি আল্লাহু লিমান হামিদা)
অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করে তিনি তার কথা শুনেন।
এছাড়াও
পড়বে- رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ، حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ (রাব্বান
ওয়া লাকাল হামদ, হামদান কাছিরান তৈয়েবান মুবারকান ফিহ) অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক!
তোমার জন্য সব প্ৰশংসা। অত্যধিক পবিত্র প্রশংসা যার মধ্যে ও উপরে বরকত নিহিত।
সাজদাহ-
অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকবীর (আল্লাহু
আকবার) বলে সাজদার জন্য অবনমিত হতেন।
তোমাদের
কেউ যখন সাজদা করে তখন যেন উটের ন্যায় না বসে বরং সে যেন স্বীয় হাঁটুদ্বয়ের পূর্বে
হস্তদ্বয় রাখে। (আবু দাউদ) অর্থাৎ তিনি মাটিতে হাঁটু রাখার পূর্বে হস্তদ্বয় রাখতেন।
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই সাতটি অঙ্গের উপর সাজদাহ করতেনঃ হাতের তালুদ্বয় ২, হাঁটুদ্ধয় ২, পদদ্বয় ২, কপাল ও নাক ১ । সুতরাং সাজদাহ এর সময় হাত, হাটু, পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুলি, নাক ও কপাল এক সাথে মাটিতে লেগে থাকতে হবে ।
তুমি
যখন সাজদাহ করবে তখন তোমার উভয় হাতের তালুদ্বয় (মাটিতে) রাখবে এবং কনুইদ্বয় উঁচু
করে রাখবে। তিনি আরো বলতেনঃ তোমরা সাজদাবস্থায় সোজা থাকবে, আর তোমাদের কেউ যেন স্বীয়
বাহুদ্বয় কুকুরের মত মাটিতে বিছিয়ে না রাখে। অপর শব্দে ও অপর হাদীছে রয়েছেঃ তোমাদের
কেউ স্বীয় বাহুদ্বয়কে কুকুরের মত যেন বিছিয়ে না রাখে। তিনি বলতেনঃ তুমি হিংস্র প্রাণীর
ন্যায় বাহুদ্বয় বিছিয়ে দিও না, আর হাতের তালুদ্বয়ের উপর ভর রাখবে এবং বাহুদ্বয়কে
দূরে রাখবে এমনটি করতে পারলে (বুঝে নিবে) যে, তোমার সাথে প্রতিটি অঙ্গ সাজদাহ করেছে।
সাজদায় দোয়া-
سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى (সুবহানা রাব্বিয়াল আলা) অর্থঃ
আমি আমার সুউচ্চ প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করছি।
যখন সাজদাহ থেকে উঠবে তখন
আল্লাহুআকবার বলে উঠবে- তুমি যখন সাজদা করবে তখন স্থির হয়ে তা করবে। আর যখন উঠবে তখন
স্বীয় বাম উরুর উপর বসবে। (আবু দাউদ) তিনি স্বীয় ডান পা খাড়া রাখতেন। এবং অঙ্গুলিগুলো
কিবলামুখী রাখতেন।
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
কখনও ইক’আ করে তথা উভয় গোড়ালি ও পায়ের বক্ষদেশের উপর দাঁড় করিয়ে তার উপর বসতেন।
(প্রথম আমলটি বেশি প্রচলিত, সুন্নত পালনের সার্থে মাঝে মাঝে গোড়ালির উপর বসা যেতে
পারে)
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)
দুই সাজদার মধ্যবর্তী অবস্থায় এমনভাবে স্থিরতা অবলম্বন করতেন যার ফলে প্রত্যেক হাড়
স্ব স্ব স্থানে ফিরে যেত।
দুই সিজদার মাঝখানের দোয়া-
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَاجْبُرْنِي وَاهْدِنِي وَعَافِنِي وَارْزُقْنِي
উচ্চারনঃ আল্লাহুমাগফিরলি
ওয়ার হামনি ওয়াজবুরনি ওয়াহদিনি ওয়াআফিনি ওয়ারযুক্বনি ।
অর্থঃ হে আল্লাহ তুমি আমাকে
ক্ষমা কর, দয়া কর, ক্ষতি পূরণ কর, মর্যাদা বৃদ্ধি করা, হিদায়াত দাও, নিরাপত্তা ও
জীবিকা দান কর। (আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
দ্বিতীয় সাজদাহ থেকে সোজা হয়ে বাম পায়ের উপর বসতেন এবং প্রত্যেক হাড় স্ব স্ব স্থানে
ফেরত আসা পর্যন্ত বিরাম নিতেন। (বুখারী)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বিতীয় রাকাআতে উঠার সময় মাটিতে ভর করে উঠতেন তিনি ছলাতের ভিতর (বসা থেকে) দাঁড়ানোর সময় আটা মন্থনের মত করে দু হাতের উপর ভর দিতেন।
তৃতীয় রাকাতের জন্য উঠার
সময় আল্লহু আকবার বলা এবং তাকবিরে তাহরিমার মত করা অর্থাৎ রাফউল ইয়াদাইন করা। এবং
চতুর্থ রাকাতে উঠার সময় শুধু আল্লাহু আকবার বলা (রাফউল ইয়াদাইন না করে)
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
দ্বিতীয় রাকাআত শেষে তাশহহুদের উদ্দেশ্যে বসতেন। এসময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বাম হাতের তালু বাম হাঁটুর উপর বিছিয়ে দিতেন, আর ডান হাতের সবগুলো অঙ্গুলি মুষ্টিবদ্ধ
করে তর্জনী দ্বারা কিবলার দিকে ইঙ্গিত করতেন এবং এর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেন।
(মুসলিম)
বৈঠকে দোয়া সমূহঃ
التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
উচ্চারনঃ আততাহিয়্যাতু
লিল্লাহি ওয়াছলাওয়াতু ওয়াতৈয়েবাতু আসসালামু আলাইকা আইয়ুহান্নাবিয়ু ওয়া
রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস স্বলিহিন,
আশহাদু আন লা ইলাহা ইলল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু ।
অর্থঃ আল্লাহর জন্যই যাবতীয়
তাহিয়াত, ছালাওয়াত ও তইয়াবিত সালাম আপনার প্রতি এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত হে আমাদের
নাবী! সালাম আমাদের প্রতি ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাহগণের প্রতি। (ছালিহীন বা সৎকর্মশীল
বান্দা বললে আসমান ও যমীনের প্রত্যেকটি সৎবান্দা এর আওতাভুক্ত হয়ে যায়) । আমি সাক্ষ্য
প্রদান করছি এই মর্মে যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ (উপাস্য) নেই। আর মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।
দরুদে ইব্রাহিম পড়া- শেষ বেঠকে
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى (إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى) آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى (إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى) آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন
কামা ছললাইতা আলা ইব্রাহিমা ওয়া আলা আলি ইব্রাহিম ইন্নাকা হামিদুন মাজিদ, আল্লাহুম্মা
বারিক আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইব্রাহিমা ওয়া আলা
আলি ইব্রাহিমা ইন্নাকা হামিদুন মাজিদ ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! মুহাম্মদ ও তার বংশধরকে ছালাতে ভূষিত কর, যেমনভাবে ইবরাহীম নাবী ও তার বংশধরকে ছালাতে ভূষিত করেছ, নিশ্চয়ই তুমি অতি প্ৰশংসিত মহিমান্বিত। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ ও তাঁর বংশধর এর উপর বরকত নাযিল কর যেমনভাবে ইবরাহীম ও তাঁর বংশধরের উপর বরকত নাযির করেছ, নিশ্চয় তুমি অতি প্ৰশংসিত মহিমান্বিত।
দোয়া মাছুরা-
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবুবকর
(রাযিঃ)-কে এই দুআ বলতে শিখিয়েছিলেন
اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا، وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ. فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি যালামতু নাফছি যুলমান কাছিরান ওয়া লা ইয়াগফিরুযযুনুবা
ইল্লা আনতা ফাগফিরলি মাগফিরাতান মিন ইনদিকা ওয়ার হামনি ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রহিম
।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি নিজের উপর অনেক অত্যাচার করেছি, আর কেউ পাপরাশি মোচন
করতে পারবে না একমাত্ৰ তুমি ছাড়া। অতএব আমাকে ক্ষমা কর, ক্ষমা তোমার নিকটেই রয়েছে।
আর আমাকে রহম কর, নিশ্চয় তুমি অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
অতঃপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ডানে সালাম প্ৰদান করতেন
এ বলে- “আসসালামু আলাইকুম অরহমাতুল্লাহ” (এ পরিমাণ মাথা ঘুরাতেন যে) তাঁর ডান গালের
শুভ্রতা দেখা যেত, বাম দিকেও সালাম প্রদান করতেন— “আসসালামুআলাইকুম অরহমাতুল্লাহ” (এ পরিমাণ মাথা
ঘুরাতেন যে) তাঁর বাম গালের শুভ্রতা দেখা যেত।
পুরুষের ছলাত এবং মহিলাদের ছলাতে কোন পার্থক্য নেই, যেমন হাদিসে এসেছে-
নারী ছালাতে তাই করবে যা একজন পুরুষ করে। এটি বর্ণনা করেছেন ইবনু আবী শাইবাহ (১/৭৫/২)
ছহীহ সনদে।
সালাম ফিরানোর পূর্বে আরো কিছু পঠিতব্য দোয়াঃ
للَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا الْمَمَاتِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِউচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিন আযাবিল কবরে ওয়া আউযুবিকা মিন
ফিতনাতিল মাসিইহিদ দাজ্জাল ওয়া আউযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়াল মামাতি আল্লাহুম্মা
ইন্নি আউযুবিকা মিনাল মাছামি ওয়াল মাগরাম ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। মাসীহুদ দাজ্জালের ফিৎনাহ থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। জীবন মরণের ফিৎনাহ থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। হে আল্লাহ! মা'ছাম (যার কারণে মানুষ পাপে লিপ্ত হয়) ও মাগরাম অর্থাৎ ঋণ থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
اللَّهُمَّ حَاسِبْنِي حِسَابَاً
يَسِيرَاً
উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা হাসিবনি হিসাবাই ইয়াসির অর্থঃ হে আল্লাহ্! অতি সহজভাবে আমার হিসাব নিও।
ফরজ ছলাত শেষে আমল সমূহঃ
প্রথমে আল্লাহুআকবার বলে তিন বার আসতাগফিরুল্লাহ বলা, এরপর -
·
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আনতাস সালা-মু ওয়া মিনকাস সালা-মু,
তাবা-রাকতা ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।
অর্থ: “হে আল্লাহ, আপনিই সালাম (শান্তি), আপনার থেকেই শান্তি, হে মহাসম্মানের
অধিকারী ও মর্যাদা প্রদানের অধিকারী, আপনি বরকতময়।” (এক বার)
· সুবাহান আল্লাহ,
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার ১০ বার করে বলা । এর পর আউযু বিল্লাহ বিসমিল্লাহ সহ
আয়াতুল কুরসি তিলাওয়াত করা (যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে
তাঁর জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না।)
এই আমলের পাশাপাশি আরো কিছু দোয়া পড়া যেতে পারে যেমনঃ
·
লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়া ‘হদাহু লা- শারীকা লাহু,
লাহুল মুলক, ওয়া লাহুল ‘হামদ, ওয়া হুআ ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
অর্থঃ “আল্লাহ ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব
তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
·
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি ওয়া রিজা
নাফসিহি ওয়া জিনাতা আরশিহি ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি।
অর্থ: আমি আল্লাহতায়ালার প্রশংসাসমেত পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তার সৃষ্টিকুলের
সংখ্যার পরিমাণ, তিনি সন্তুষ্ট হওয়া পরিমাণ, তার আরশের ওজন সমপরিমাণ, তার কথা লিপিবদ্ধ
করার কালি পরিমাণ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুটি কলেমা এমন যা
জিহবাতে অতি হালকা অথচ মীযানে ভারী আর রাহমানের নিকট খুব পছন্দনীয়; তা হলঃ
· সুবহানাল্লাহ ওয়া
বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযীম। (বুখারী)
দোয়া কুনুত ১-
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান বিন আলী (রাযিঃ)-কে বিতরের কিরা'আত শেষ করে এ দু'আটি বলতে শিখিয়েছিলেনঃ
اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ
هَدَيْتَ، وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ،
وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِي شَرَّمَا قْضَيْتَ، (فَ)إنَّكَ تَقْضِيْ
وَلاَ يُقْضٰى عَلَيْكَ (وَ)إِنَّهُ لا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، (وَلاَ يَعِزُّ
مَنْ عَادَيْتَ) تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ (لاَ مَنْجَا مِنْكَ إلاَّ
إلَيْكَ)
উচ্চারনঃ
আল্লা-হুম্মাহদিনী ফকীমান হাদাইতা ওয়া আ-ফিনী ফকীমান ‘আ-ফাইতা ওয়া তাওয়ালালানী
ফীমান তাওয়াল্লাইত ওয়া বা-রিকলী ফী-মা আতাইতা ওয়া ক্বিনী শাররা মা-কাযাইতা,
ফাইন্নাকা তাকযী ওয়ালা- ইউকযা- 'আলাইকা ইন্নাহু লা-ইয়াযিল্লু মাউওয়া-লাইতা
ওয়ালা- ইয়া ইযযু মান আ-দাইত তাবা-রাকতা রাব্বানা- ওয়া তা'আ-লাইত, লা-মানজা মিনকা
ইল্লা ইলাইকা।
অর্থঃ
হে আল্লাহ! আমাকে সঠিক পথ দেখিয়ে তাদের অন্তৰ্গত করো যাদের তুমি হেদায়াত করেছ,
আমাকে নিরাপদে রেখে তাদের মধ্যে শামিল করো যাদের তুমি নিরাপদে রেখেছি। তুমি আমার
অভিভাবকত্ব গ্রহণ করে তাদের মধ্যে শামিল কর যাদের তুমি অভিভাবক হয়েছ। তুমি আমাকে
যা দান করেছ তার মধ্যে বরকত দাও। তুমি আমাকে সেই অনিষ্ট থেকে রক্ষা কর যা তুমি
নির্ধারণ করেছ, কারণ তুমি ফয়সালাকারী এবং তোমার উপর কারো ফয়সালা কার্যকর হয় না।
তুমি যার সাথে মিত্ৰতা পোষণ কর তাকে কেউ লাঞ্ছিত করতে পারে না। [আর যার সাথে
শক্ৰতা পোষণ করা সে কখনো সম্মানী হতে পারে না।] হে আমাদের রব! তুমি খুবই বরকতময়,
সুউচ্চ ও সুমহান। তোমার থেকে পরিত্রাণের স্থল কেবল তোমার নিকটেই রয়েছে।
কুনুত ২-
উচ্চারনঃ
আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তায়ীনুকা, ওয়া নাস্তাগ্ফিরুকা, ওয়া নু’মিন বিকা, ওয়া
নাতাওয়াক্কালু ‘আলাইকা, ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর। ওয়া নাশ কুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা,
ওয়া নাখলাউ, ওয়া নাতরুকু মাঁই ইয়াফজুরুকা আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া লাকানুসল্লী,
ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস’আ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা
আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্ফারি মুলহিক।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমরা তোমারই সাহায্য চাই। তোমারই নিকট ক্ষমা চাই, তোমারই প্রতি ঈমান রাখি, তোমারই ওপর ভরসা করি এবং সকল মঙ্গল তোমারই দিকে ন্যস্ত করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি, অকৃতজ্ঞ হই না। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই দাসত্ব করি, তোমারই জন্য নামায পড়ি এবং তোমাকেই সিজদাহ করি। আমরা তোমারই দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি। আমরা তোমারই রহমত আশা করি এবং তোমার আযাবকে ভয় করি। আর তোমার আযাবতো কাফেরদের জন্যই র্নিধারিত।
আয়াতুল কুরসী-
اَللهُ لآ إِلهَ
إِلاَّ
هُوَ
الْحَىُّ
الْقَيُّوْمُ،
لاَ
تَأْخُذُهُ
سِنَةٌ
وَّلاَ
نَوْمٌ،
لَهُ
مَا
فِى
السَّمَاوَاتِ
وَمَا
فِى
الْأَرْضِ،
مَنْ
ذَا
الَّذِىْ
يَشْفَعُ
عِنْدَهُ
إِلاَّ
بِإِذْنِهِ،
يَعْلَمُ
مَا
بَيْنَ
أَيْدِيْهِمْ
وَمَا
خَلْفَهُمْ
وَلاَ
يُحِيْطُوْنَ
بِشَيْئٍ
مِّنْ
عِلْمِهِ
إِلاَّ
بِمَا
شَآءَ،
وَسِعَ
كُرْسِيُّهُ
السَّمَاوَاتِ
وَالْأَرْضَ،
وَلاَ
يَئُودُهُ
حِفْظُهُمَا
وَ
هُوَ
الْعَلِيُّ
الْعَظِيْمُ-
উচ্চারণঃ আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল
ক্বাইয়্যুম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ ওয়ালা নাঊম। লাহূ মা ফিস্ সামা-ওয়াতি ওয়ামা
ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ’ ই’ন্দাহূ ইল্লা বিইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা
আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতূনা বিশাইয়্যিম্ মিন ‘ইলমিহি ইল্লা বিমা
শা-আ’ ওয়াসিআ’ কুরসিইয়্যুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, ওয়ালা ইয়াউ’দুহূ
হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়্যুল আ’জিম। (সূরা আল-বাক্বারা আয়াতঃ ২৫৫)
অর্থঃ আল্লাহ, যিনি
ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। কোন তন্দ্রা বা নিদ্রা
তাঁকে পাকড়াও করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তাঁরই মালিকানাধীন।
তাঁর হুকুম ব্যতিত এমন কে আছে যে, তাঁর নিকটে সুফারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও
পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত
করতে পারে না, কেবল যতুটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতিত। তাঁর কুরসি সমগ্র
আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলির তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে
না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান’।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয ছালাতের পর ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করবে মৃত্যু
ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করতে তার কোনই বাধা থাকে না’ (নাসাঈ কুবরা হা/৯৯২৮; মিশকাত হা/৯৭৪; ছহীহাহ
হা/৯৭২)
এই পোস্টটি পিডিএফ (PDF) আকারে ডাউনলোড করতে নিচের ডাউনলোড লিংকে ক্লিক করুন-
{getButton} $text={PDF Download} $icon={download} $color={#ff9f1a}
আযানের জবাব ও দোয়া (বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ সহ)
Don't forget to share this post!
1 মন্তব্যসমূহ
দয়া করে আমাদের কন্টাক পেজ থেকে ইমেইল করুন ।
উত্তরমুছুনDon't forget to Comment!